এপ্রিল ২০, ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট হাউসের ভেতরে এক নারী এমপির টেবিলে যৌন সম্পর্ক স্থাপনসহ একাধিক ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনার জেরে পার্লামেন্টের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ ধরনের ভিডিওকে ‘নিন্দনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওগুলো অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যমে পার্লামেন্টের এক সাবেক সরকারি কর্মচারী ফাঁস করেছিলেন।

তিনি বলেছেন, লোকজন যৌন সম্পর্ক করার জন্য পার্লামেন্টের প্রার্থনা ঘরটি ব্যবহার করে, এমনকি সংসদে যৌনকর্মীদের নিয়ে আসা হয়। ফাঁসকারি এটিকে পুরুষদের যা খুশি তাই করতে পারার মানসিকতাকে দায়ী করেছেন। তিনি বিষয়টিকে নৈতিকভাবে দেউলিয়াত্বের সঙ্গেও তুলনা করেছেন।

এ অবস্থায় পার্লামেন্টের ভিতরে বিরক্তিকর কর্মকাণ্ডের কড়া নিন্দা জানিয়ে স্কট মরিসন বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই এটি (পার্লামেন্ট) যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। অবশ্যই আমাদের রাজনীতি থেকে এই বিষয়গুলোকে আলাদা করে রাখতে হবে।’

সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সমাধান করার কথাও বলেছেন স্কট মরিসন। ব্রিটানি হিগিন্স নামে পার্লামেন্টের এক সাবেক নারী কর্মী গত ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে অফিসের এক সহকর্মী তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ না করার জন্য তাকে চাপ দেয়া হয়েছিল।

এদিকে, পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে যৌন সম্পর্কের ভিডিও প্রকাশের জেরে অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের সামনে একদল লোক বিক্ষোভ করেন। তারা এ নিয়ে গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মরিসনকে সমালোচনার শিকারও হতে হয়।

পরে অবশ্য বিক্ষোভকারী নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদে দেখা করতে বলা হয়েছিল যা তারা ‘বন্ধ দরজার পেছনের আলোচনা’ বলে মন্তব্য করে প্রত্যাখ্যান করেন।