এপ্রিল ২৫, ২০২৪

সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে ‘হাইপারিয়ন’ নামের একটি ইসরাইলি বাণিজ্যিক জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। তবে এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

নাতানজ পরমাণু স্থাপনায় বিস্ফোরণের প্রতিশোধ নিতে ইরানের অঙ্গীকারের পরদিন মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মেরিনট্রাফিক ডটকমের উপাত্ত থেকে জানা গেছে, ফুজাইরা উপকূলে জাহাজটি ভিড়ে ছিল। আরব গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জাহাজটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। জেরুজালেম পোস্ট, গালফ নিউজ ও বিবিসি এমন খবর দিয়েছে।

জাহাজটি ইসরাইলি রে শিপিং কোম্পানির সংশ্লিষ্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে একই কোম্পানির একটি জাহাজ ইরানি হামলার শিকার হয়েছে।

ইসরাইলি গণামধ্যম বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন দিয়ে সম্ভবত হামলাটি হয়েছে। এতে নৌযানটি হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অজ্ঞাত ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বরাতে এই হামলার জন্য চিরবৈরী ইরানকে দায়ী করে খবর প্রকাশ করেছে ইসরাইলি চ্যানেল ১২। এতে এটিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুটি নৌ নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরের কাছে একটি ইসরাইলি জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। এতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কিংবা ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সংযুক্ত আরব আমিরাতও তাৎক্ষণিকভাবে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেনি।

তবে লেবাননভিত্তিক আলমায়েদিন টেলিভিশন বলেছে, হামলার শিকার জাহাজটি হাইপারিয়ন।

জাহাজটি গাড়ি বহন কাজে ব্যবহৃত হয় এবং ৪৮ ঘণ্টা আগে এটি কুয়েতের মিনা আলআহমাদি বন্দরে ছিল।

জাহাজের মালিকদের এক প্রতিনিধি বিবৃতিতে বলেন, হাইপারিয়ন রে’র কোনো ক্ষতি হয়নি। এটি পূর্ণোদ্যমে চলছে।

এদিকে ইরানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায় পরমাণু পদার্থ পরিশোধনে ব্যবহৃত কয়েক হাজার যন্ত্র ধ্বংস কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক ইরানি কর্মকর্তা এমন তথ্য দিয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

দেশটির পার্লামেন্টের গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আলী রেজা জাকানি বলেন, কার্যক্রম চালিয়ে যেতে ইরানের সক্ষমতা অকার্যকর করে দিয়েছে এই দুর্ঘটনা।

আরও এক কর্মকর্তা বলেন, এই হামলা এমন এক স্থাপনায় হয়েছে, যেটা ১৬৫ ফুট মাটির নিচে। এ হামলাকে ‘পরমাণু সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যায়িত করে ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান।

ইসরাইল এ হামলার কথা স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। তবে গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে ইসরাইলি একটি রেডিও বলেছে, এটি ছিল মোসাদের সাইবার হামলা।

আক্রান্তগুলোকে বাদ দিয়ে নতুন আরও অত্যাধুনিক সেন্ট্রিফিউজ বসানোর কথা জানিয়েছে ইরান।