মার্চ ২৯, ২০২৪

টুর্নামেন্টের অন্যতম সফলতম দল চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয়ে চলতি আসর শুরু করেছিল আইপিএলের বর্তমান রানার্সআপ দিল্লি ক্যাপিট্যালস। পরের ম্যাচেই তারা হেরে যায় রাজস্থান রয়্যালসের কাছে। ঘুরে দাঁড়াতে অবশ্য সময় নষ্ট করেনি রিশাভ পান্তের দল।

আজ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে আইপিএলের চলতি আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে দিল্লি। পাঞ্জাবের করা ১৯৫ রানের লক্ষ্য টপকে যেতে মাত্র ১৮.২ ওভার খেলেছে তারা। দলের জয়ে মূখ্য অবদান বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ানের।

আইপিএলের গত আসরে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন দিল্লি ক্যাপিট্যালসের বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ান। এবারও তিন ম্যাচের মধ্যে দুইবার জাগালেন সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। কিন্তু দুইবারই থেমেছেন কাছে গিয়ে। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে করেছিলেন ৫৪ বলে ৮৫ রান। আজ পাঞ্জাবের সঙ্গে আউট হলেন ৪৯ বলে ৯২ রান করে।

ধাওয়ান সেঞ্চুরি না পেলেও, দুইটি ম্যাচেই সহজ পেয়েছে দিল্লি। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ব্যাটিংবান্ধব উইকেট ও রাতের কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে পাঞ্জাবের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলাই করেছেন ধাওয়ান। ইনিংসের ১৫তম আউট হওয়ার আগে ১৩ চারের সঙ্গে ২ ছয়ে করেছেন ৯২ রান।

রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী সঙ্গী পৃথ্বী শ’কেই নিয়ে ইতিবাচক শুরু করেন ধাওয়ান। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ৩২ রান করেন পৃথ্বি, জুটির রান তখন ৫৯। ইনিংসের পরের ৯ ওভারের দায়িত্ব পুরোপুরি নিজের কাঁধে তুলে নেন ধাওয়ান।

মাঝে ১১তম ওভারে স্টিভেন স্মিথ ১২ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এতে কোনো ভ্রুক্ষেপই ছিল না ধাওয়ানের। নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ে পৌঁছে যান সেঞ্চুরির কাছে। কিন্তু থামতে হয় ঝাই রিচার্ডসনের স্লোয়ারে পরাস্ত হয়ে। ধাওয়ান সোজা বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেও, ততক্ষণে জয়ের সুবাতাস পেতে শুরু করেছিল দিল্লি।

পরে বাকি কাজটা সারেন মার্কাস স্টয়নিস। অধিনায়ক রিশাভ পান্ত সে অর্থে প্রত্যক্ষ অবদান রাখতে পারেননি। তবে উইকেটে থেকে সঙ্গ দিয়েছেন স্টয়নিসকে। দলের জয়ের জন্য ১৬ রান বাকি থাকতে ১৬ বলে ১৫ রান করে আউট হন পান্ত। তবে স্টয়নিস ১৩ বলে ২৭ ও ললিত যাদব ৬ বলে ১২ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস জিতেছিলেন দিল্লি অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। টস জিতে তিনি ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব কিংসকে। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল আর মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ব্যাটে রীতিমত ঝড় ওঠে। ১২.৪ ওভার ব্যাটিং করেন তারা দু’জন। স্কোরবোর্ডে তোলেন ১২২ রান।

এরপর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৩৬ বলে ৬৯ রানের ঝড় তুলে বিদায় নেন তিনি। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মারেন ৪টি। তার অপর সঙ্গী লোকেশ রাহুল ৫১ বলে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ২টি।

এরেপর ক্রিস গেইল মাঠে নেমে ৯ বলে খেলেন ১১ রানের ইনিংস। ১৩ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন দীপক হুদা, নিকোলাস পুরান করেন ৯ রান। শাহরুখ খান করেন ৫ বলে ১৫ রান।

শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব কিংস। ক্রিস ওকস, লুকমান মেরিওয়ালা, কাগিসো রাবাদা এবং আবেশ খান নেন ১টি করে উইকেট।