মার্চ ২৯, ২০২৪

ভারতের সকল যাত্রীবাহী বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হংকং। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

মূলত ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের কারণে আপাতত ১৪ দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হংকং। অর্থাৎ ২০ এপ্রিল থেকে আগামী ৩ মে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। পাশাপাশি পাকিস্তান ও ফিলিপাইনকেও করোনাভাইরাসের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, চলতি মাসে ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হংকংয়ে যাওয়া ৫০ জন যাত্রীর মধ্যে দু’জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
রোববার হংকং সরকার মুম্বাই-হংকং রুটে চলাচলকারী ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের সকল ফ্লাইট আগামী ২ মে পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভিস্তারার মুম্বাই-হংকং ফ্লাইটে তিন যাত্রী করোনা পজিটিভ আসার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অপরদিকে গত ৪ এপ্রিল দিল্লি-হংকং ফ্লাইটে করে যাওয়া ৪ যাত্রীরও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তারপর ৬ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দিল্লি-হংকং রুটে ভিস্তারার ফ্লাইটগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

নিয়ম অনুসারে, হংকং ভ্রমণে যাওয়া সকল যাত্রীর বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই সেদেশে প্রবেশ করতে পারবে।
হংকংয়ের প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী, সাতদিনের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে যেকোনো ফ্লাইটে আসা পাঁচ কিংবা তার অধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে সেই দেশের সকল ফ্লাইট ১৪ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে।

হংকং সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাদের কমিউনিটিতে করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। সে কারণে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সরকার নতুন নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রীতিমতো কাঁপছে ভারত। দেশটিতে ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত চার-পাঁচদিন ধরে ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিদিনই সেই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ছে।

সারা বিশ্বের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে ভারতে। সোমবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩০৬ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৬২৫ জন।