এপ্রিল ১৬, ২০২৪

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। মহামারি প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম চললেও ভ্যাকসিন নিয়েও অনেকে ফের আক্রান্ত হচ্ছেন ভাইরাসে। ভারতেও এর ব্যতিক্রম নয়। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। তবে এর হার অনেকটাই কম বলে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, করোনা প্রতিরোধে যারা কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে দশমিক শূন্য চার (০.০৪) শতাংশ মানুষ ফের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে যারা কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে এই হার দশমিক শূন্য তিন (০.০৩) শতাংশ।

আইসিএমআর’র মহাপরিচালক ড. বলরাম ভার্গব বলেছেন, টিকা নিয়েছেন এমন ১০ হাজার মানুষের মধ্যে ২ থেকে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
ভারত সরকারের পলিসি থিংক ট্যাংক নীতি আয়োগের সদস্য জ. ভি কে পাল বলেছেন, যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই অল্প। তবে টিকা নেওয়ার পরও ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

তার দাবি, এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী, করোনা প্রতিরোধে কোভিশিল্ড ৭০ শতাংশ কার্যকর। অন্যদিকে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ৮১ শতাংশ। দু’টি ভ্যাকসিনের দু’টি করে ডোজ নিতে হয়। উভয় টিকার ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১০ থেকে ১৫ দিন পরে গ্রহীতার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।

কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৫০ শতাংশ টিকা বিক্রি করার পর খোলা বাজারে ও রাজ্য সরকারগুলোর কাছে কোভিশিল্ড বিক্রির করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরপরই বুধবার টিকার দাম ঘোষণা করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট।

ঘোষণা অনুযায়ী, রাজ্য সরকারগুলোর কাছে ৪০০ রুপিতে প্রতি ডোজ কোভিশিল্ড বিক্রি করবে সংস্থাটি। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এই টিকা বিক্রি হবে ৬০০ রুপিতে। তবে কেন্দ্রকে আগের দামেই অর্থ্যাৎ ১৫০ রুপিতে টিকা সরবরাহ করবে সেরাম।

আগামী ১ মে থেকে ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিশিল্ড টিকার প্রতি ডোজ ৬০০ রুপিতে বিক্রি হবে। বর্তমানে এই টিকার একটি ডোজের দাম ২৫০ টাকা। কোভিশিল্ড নেওয়ার ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজের জন্য প্রায় তিন গুণ অর্থ বেশি খরচ করতে হবে।