এপ্রিল ২০, ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, সোমবার (১০ মে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মন্ত্রিসভায় ৪৩ সদস্য শপথ নেন। মহামারি করোনার কারণে রাজভবনে ছোট আকারে মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার স্থানীয় সময় সাড়ে ১০টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। তার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন মন্ত্রীরা। তিন দফায় শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। প্রথমে পূর্ণ মন্ত্রী, তারপর স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং সবশেষে প্রতিমন্ত্রীরা শপথবাক্য পাঠ করেন একসঙ্গে। তবে আলাদা আলাদা করে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়নি।

৪৩ জন মন্ত্রী নেওয়া হয়েছে এবারের এই মন্ত্রিসভায়। এর মধ্যে ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রী ও ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৪ জন।

রাজভবনে মন্ত্রিসভার শপথের পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টনের কাজ শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও মমতার হাতে রয়েছে স্বরাষ্ট্র, পুলিশ, পার্বত্যবিষয়ক, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর।

পূর্ণ মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন:
সুব্রত মুখার্জি, পার্থ চ্যাটার্জি, অমিত মিত্র, সাধন পাণ্ডে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা, মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, সৌমেন কুমার মহাপাত্র, মলয় ঘটক, অরূপ বিশ্বাস, উজ্জ্বল বিশ্বাস, অরূপ রায়, রথীন ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রনাথ সিনহা, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, পুলক রায়, শশী পাঁজা, গোলাম রব্বানী, বিপ্লব মিত্র, জাভেদ আহমেদ খান, স্বপন দেবনাথ এবং সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

প্রতিমন্ত্রী:
বেচারাম মান্না, সুব্রত সাহা, হুমায়ুন কবীর, অখিল গিরি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রত্না দে নাগ, সন্ধ্যারাণী টুডু, বুলু চিক বারিক, সুজিত বসু ও ইন্দ্রনীল সেন।

প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দপ্তর প্রাপ্ত):
দিলীপ মণ্ডল, আখতারুজ্জামান, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাত, ইয়াসমীন সাবিনা, বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মান্ডি, অধিকারী পরেশ চন্দ্র এবং মনোজ তিওয়ারি।

এবারে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদল হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায়। অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক মন্ত্রী থাকলেন অমিত মিত্র। কৃষিমন্ত্রী করা হয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী করা হলো পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে শিক্ষা দপ্তর পেলেন এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা করোনা আক্রান্ত ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হলেন বনমন্ত্রী। সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের নতুন মন্ত্রী হলেন বঙ্কিম হাজরা।

নতুন মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি দায়িত্ব পেলেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের, তিনি হলেন প্রতিমন্ত্রী। পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হলেন দিলীপ মণ্ডল, আখরুজ্জামান হয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী, পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ প্রতিমন্ত্রী হলেন শিউলি সাহা, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী হলেন শ্রীকান্ত মাহাতো, বীরবাহা হাঁসদা হলেন বন প্রতিমন্ত্রী, জ্যোৎস্না মান্ডি পেলেন খাদ্য ও সরবরাহ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। অন্যদিকে পরেশ অধিকারী স্কুল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।