মার্চ ২৮, ২০২৪

পিবিএ,ঢাকা: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪০ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করে। অন্যদিকে, বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি ৮২ লাখ।

রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় যে ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রথম ২০ লাখের মৃত্যু হয়েছে এক বছরের বেশি সময়ে। কিন্তু পরবর্তী ২০ লাখের মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১৬৬ দিনে।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এমন পাঁচটি দেশ হলো—যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া ও মেক্সিকো। বিশ্বে করোনায় যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রায় ৫০ শতাংশ হয়েছে এই পাঁচ দেশে। তবে বিশ্বে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি পেরু, হাঙ্গেরি, বসনিয়া, চেক রিপাবলিক ও জিব্রাল্টারে।

অনেক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় মৃত্যুর যে সরকারি হিসাব দেওয়া হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে বেশি হবে। গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও একই কথা জানায়।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো কিছু দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে এসেছে। তবে কিছু দেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, বিশ্বের অনেক দেশ করোনার টিকার সংকটে ভুগছে। বিশেষ করে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে এই সংকট প্রকট।

টিকার এমন সংকটের মুখে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭-এর নেতারা ১ বিলিয়ন ডোজ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

গত বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯ ’। ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

পিবিএ/জেডএইচ