এপ্রিল ১৯, ২০২৪

তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ যাওয়ার প্রেক্ষিতে দেশটিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের এক মুখপাত্র আন্তর্জাকি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আফগানিস্তানে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানটি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশটির উন্নয়নে, বিশেষ করে নারীদের ওপর নতুন এ নেতৃত্বের প্রভাবের বিষয়ে। নেতৃত্বের পরিবর্তন কীভাবে হয় তা পর্যবেক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরামর্শ করার পরিকল্পনা করছে ব্যাংকটি।

বিশ্বব্যাংকের ওই মুখপাত্র আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক আফগানিস্তানে কষ্টার্জিত উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখা ও এসব সংরক্ষণের উপায় খুঁজছে।

চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৯৪০ মিলিয়ন ডলারের ১২টির মতো উন্নয়নমূলক প্রকল্প ছিল বিশ্বব্যাংকের। পৃথকভাবে, প্রতিষ্ঠানটির আফগানিস্তান পুনর্গঠন ট্রাস্ট ফান্ডের ১.২ বিলিয়ন ডলারের ১৫টি প্রকল্প ছিল বলে বিশ্বব্যাংকের এপ্রিলের আপডেটে বলা হয়। বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত পুনর্গঠন এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পে দেশটিকে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে তারা।

এর আগে, গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তালেবান কাবুল দখল করে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটির নতুন সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

দুই দশক পর মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে দ্রুতই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরইমধ্যে তারা সরকার গঠনের বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। সরকার গঠন না করলেও নতুন দুই মন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধানের নাম ঘোষণা করেছে তালেবান। মন্ত্রী দুজন অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

আফগানিস্তানের বার্তা সংস্থা পাজহোকের বরাত দিয়ে রয়টার্স মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে গুল আগাকে, ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিম ও নাজিবুল্লাহ হবেন গোয়েন্দাপ্রধান। এছাড়া কাবুলের গভর্নর করা হয়েছে মোল্লা শিরিনকে। আর রাজধানীর মেয়র হলেন হামদুল্লাহ নোমানি। এর মধ্যে আফগানিস্তানের দ্য আফগানিস্তান ব্যাংকের (ডিএবি) নতুন গভর্নর হিসেবে হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিসকে নিয়োগ দিয়েছে তালেবান।

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে আসার পর সেখানকার নারীদের স্বাধীনতা, ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, খেলাধুলা, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বিশ্বমহল।