মার্চ ২৯, ২০২৪

অবশেষে আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি বিদায় নিলো মার্কিন বাহিনী। ফলে দুই সপ্তাহ ধরে লোকে লোকারণ্য কাবুল বিমানবন্দরে এখন সুনশান নীরবতা। এ অবস্থায় বিমানবন্দরটি পরিচালনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে তুরস্ক। আর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে কাতারের সঙ্গেও আলোচনা করছে তালেবান। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে দ্রিয়ান ফ্রান্স ২ টেলিভিশনকে বলেছেন, এসব আলোচনার লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যেন আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া লোকজন বাণিজ্যিক ফ্লাইট ব্যবহার করে বের হতে পারেন।

তিনি বলেন, (কাবুল) বিমানবন্দর সুরক্ষিত করার বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হবে। বিমানবন্দরটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাতারি ও তুর্কিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর ব্যবহার যেন নিরাপদ হয়, আমাদের অবশ্যই সেই দাবি জানাতে হবে।

তুরস্ক কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে, এমন খবর গত জুলাইয়েই শোনা গিয়েছিল। ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের খবর অনুসারে, এ বিষয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

তিনি বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কারণে সেখানে নিরাপত্তা হুমকি বাড়ছে। তুর্কি সেনারা কীভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করবে সেসব বিষয় নিয়ে সমঝোতা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

৩১ আগস্ট আফগানিস্তান সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগেই তুরস্ক কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নেবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট তালেবান অনেকটা বিনাবাধায় আফগান রাজধানীর দখল নিলে বিষয়টি বাস্তবায়িত হওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। কিন্তু ফরাসি মন্ত্রীর ভাষ্যমতে, সেই তুরস্কই খুব শিগগিরই তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে আসতে চলেছে।