এপ্রিল ২০, ২০২৪

দেশকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চেয়েছেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। খবর বিবিসির।

১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আশরাফ গানি। বুধবার এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট গানি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, আমার জীবনে কাবুল ত্যাগ করা ছিলো সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে তিনি দুঃখিত উল্লেখ করে বলেন, এটি অন্যভাবে করাও সম্ভব ছিলো না।

তিনি বলেন, তিনি মানুষকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে চাননি এবং এটিই ছিলো একমাত্র পথ। টুইটে তিনি আরও বলেন, সহিংসতা এড়ানোর জন্যই তিনি দেশ ছেড়েছেন।

আশরাফ গানি বলেন, প্রেসিডেন্ট প্যালেসে নিয়োজিত কর্মীদের অনুরোধে তিনি পালিয়ে যান। শহরের রাস্তায় রাস্তায় রক্তপাত বন্ধ করতে এবং ১৯৯০ সালের মতো যেনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়, এমনকি কাবুল রক্ষা একই সঙ্গে ৬০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য পালাতে বাধ্য হন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানকে গণতান্ত্রিক, মর্যাদাপূর্ণ এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০ বছর ধরে নিবেদিত ছিলেন।

১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণে নিলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় পুরো আফগানিস্তানে। এসময় দেশের মানুষকে অন্ধকারে ফেলে পালিয়ে যান সাবেক এ প্রেসিডেন্ট। ভয় আর আতঙ্কে হাজার হাজার আফগান দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেন। এসময় রাজনৈতিক গোলযোগ আর কাবুলে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে বোমা হামলায় নিহত হন দুই শতাধিক মানুষ। দেশকে এমন অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের অভ্যন্তরে এমনকি বাইরেও সমালোচনার মধ্যে পড়েন আশরাফ গানি। আফগান অনেক নাগরিক তাকে ‘কাপুরুষ’ বলেও অ্যাখ্যা দেন।