প্রাণঘাতী রোগ করোনায় বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি কমেছে। মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
ওয়েবসাইটটির হিসেব অনুযায়ী, শনিবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৪ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৭ হাজার ৬৩২ জন।
তার আগের দিন শুক্রবার এ রোগে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৯ হাজার ১৫২ জনের।
অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৭১ জন এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৫২০ জন।
গতদিনের মতো শনিবারও করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই দিন দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ২৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭১৮ জনের।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত অন্যান্য যেসব দেশে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুতে উচ্চহার লক্ষ্য করা গেছেন সে দেশসমূহ হলো – ভারত (নতুন আক্রান্ত ৩১ হাজার ৩৯১ , মৃত্যু ৩৩৮), যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ২৯ হাজার ৫৪৭ , মৃত্যু ১৫৬), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ২২ হাজার ৯২৩ , মৃত্যু ২৫৯), ফিলিপাইন (নতুন আক্রান্ত ২৬ হাজার ৩০৩, মৃত্যু ৭৯), মালয়েশিয়া (নতুন আক্রান্ত ১৯ হাজার ৫৫০, মৃত্যু ৫৯২) এবং রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ১৮ হাজার ৮৯১, মৃত্যু ৭৯৬)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ১ কোটি ৮৮ লাখ ২৭ হাজার ২৫৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৩ হাজার ৮২৪ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪৩০ জন।
এছাড়া, শনিবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৪৯ হাজার ১০২ জন। আগের দিন শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৬১ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২২ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৯ জন এবং মারা গেছেন মোট ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬২ জন।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২০ কোটি ১৬ লাখ ১ হাজার ৮৫৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও এই এ রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় অবশেষে ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।