এপ্রিল ২০, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক: বাতাস ও সূর্যের শক্তিকে ব্যবহার করেই বিশ্বের বিদ্যুতের মোট চাহিদার ১০ শতাংশ মেটানো হচ্ছে। ৫০টি দেশ তাদের মোট চাহিদার ১০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে বাতাস ও সূর্যের আলোকে ব্যবহার করে। জলবায়ু ও জ্বালানী থিংক ট্যাংক এমবারের এক গবেষণায় এমন আশাবাঞ্জক তথ্য পাওয়া গেছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়েছে, কোভিড মহামারির ধাক্কা সামলে উঠছে বিশ্ব। এতে করে বাড়ছে জ্বালানীর চাহিদা। রেকর্ড গতিতে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাও। এরফলে ১৯৮৫ সালের পর এ বছরই সর্বোচ্চ হারে কয়লার ব্যবহার বাড়ছে। গবেষণা বলছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে যে অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে তা দিয়ে ভারতের মতো একটি দেশের চাহিদা পূরণ করা যায়।

এরমধ্যে ৩৮ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে নিরাপদ বা পরিবেশ বান্ধব উৎস থেকে। প্রথমবারের মতো সোলার প্যানেল ও উইন্ড টারবাইন থেকে ১০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ এসেছে। অর্থাৎ ২০১৫ সালের তুলনায় এই দুই উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন দুই গুণ হয়েছে। ওই বছরই প্যারিসে বিখ্যাত জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

গত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম সবথেকে বেশি প্রাকৃতিক উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে। এরমধ্যে এক বছরের মধ্যেই সোলার ব্যবহার ৩০০ শতাংশ বেড়েছে ভিয়েতনামে। এছাড়া ডেনমার্কে বাতাস ও সূর্য থেকে তাদের ৫০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বিশ্বজুড়ে নিরাপদ উৎস এত জনপ্রিয় হওয়া সত্বেও কয়লার ব্যবহারও বেড়েই চলেছে। ২০২১ সালে বিশ্বের ৯ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে। এরমধ্যে ভারত ও চীনই সবথেকে বেশি কয়লা ব্যবহার করেছে।