ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
frout

হিট স্ট্রোকের প্রধান কারণ পানিশূন্যতা। মানব দেহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। প্রচন্ড তাপদাহে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের চেয়ে বেশি হলেই হিট স্ট্রোক হতে পারে। আর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হলো মাথা ঝিম ঝিম করা, বমি করা, অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা, মাংসপেশির খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা, গরমে ঘুম কম হওয়া, চামড়া খসখসে ও লাল হয়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্ট, দৃষ্টিবিভ্রম, খিঁচুনি ইত্যাদি। এ ছাড়া যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে কাঠফাটা রোদে তাদের হিট স্ট্রোক হতে পারে।

গরমে বেশি ঘাম হলে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতি থেকেও হিট স্ট্রোকের মতো বিপত্তি দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখতে হবে, যা শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করবে, শরীর ঠাণ্ডা রাখবে এবং দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় রাখতে সহায়তা করবে। জেনে নিন গরমে কী কী খাবেন।

ডাবের পানি: গরম থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হলো ডাবের পানি। এতে পেট ঠাণ্ডা থাকে। সঙ্গে যোগ হয় পুষ্টিগুণও। ডাবের পানি শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। গরমের দিনে ডাবের পানি পান করলে তাই শরীর চাঙা থাকে।

যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে কাঠফাটা রোদে তাদের হিট স্ট্রোক হতে পারে
কাঁচা আম: এই ফল শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে দারুণ উপকারী। গরমের দিনে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এই সময়ে অল্প লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। তাছাড়া কাঁচা আম পোড়া শরবত কিংবা কাঁচা আমের চাটনিও শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।

লাউ: লাউ এমন একটি সবজি যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে বেশ উপকারী। তবে রান্না করা লাউয়ের তুলনায় কাঁচা লাউয়ের রসের উপকারিতা অনেক বেশি। দিনের যেকোনো সময় লাউয়ের রসে সামান্য লবণ আর লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় শরীরকে বেশ ঠাণ্ডা রাখে, শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে।

অঙ্কুরিত মুগ ডাল: অফিসে কাজের মাঝে খিদে পেলে অধিকাংশই তেলে ভাজা খাবার খেয়ে থাকেন। এর ফলে শরীরে পানির ঘাটতি আরও বেড়ে যেতে পারে। গরমের দিনে বিকেলে খিদে পেলে অঙ্কুরিত মুগ ডালের সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম। তাই শরীরে তাপমাত্রা বাড়ে না। পেট ঠাণ্ডা থাকে, শরীরে সোডিয়াম আর পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকে।

টক দই: গরমকালে খাওয়ার পাতে টক দই অবশ্যই রাখতে হবে। ভাত দিয়ে হোক বা ফল দিয়ে কিংবা শুধুই খেতে পারেন টক দই। তবে দইয়ের ঘোল কিংবা লাচ্ছি বানিয়ে খেলে শরীরে পানিও ঢুকবে। ফলে হজমও ভালো হবে, আর শরীরে পানির চাহিদাও মিটবে।