এপ্রিল ২৩, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক: চালের বাজারে কিছুটা অসঙ্গতি দেখেছি। পাইকারিতে মোটা চাল ৪৩-৪৪ টাকা, খুচরায় সেটা আরও বাড়বে। তবে এখন আর মোটা চাল কেউ খান না। রিকশাচালকও চিকন চাল খোঁজেন। আমরা খুচরায় আরও মনিটরিং বাড়াতে চাই, এ জন্য কাজ করবে টাস্কফোর্স।

রোববার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে বলেই আমরা বারবার বাজারে আসছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি। বাজারে পাইকারিতে তেমন সমস্যা না থাকলেও খুচরা-পাইকারিতে দামের বেশ পার্থক্য রয়েছে।
তিনি বলেন, কোথাও যদিও চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায় তাহলে আমার নম্বরটি নিন। কোন কোন পয়েন্টে চাঁদাবাজি হচ্ছে আমাকে জানান, আমি নিজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।

তিনি বলেন, তেল পাইকারি দরে ১৫৮ থেকে ১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ১৬০ টাকা বিক্রি হবে কিনা দেখার বিষয়।

মসলা ও জিরার দাম বেড়েছে। কেন বাড়লো এ বিষয়ে আমদানিকারকদের সাথে আমরা বসবো। আমি আসলাম বলে জিনিসের দাম কম বলা হচ্ছে কিনা এটা দেখতে হবে। এজন্য ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।
ফল ও কাঁচাবাজারের দাম নিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় বেগুন ৫০ টাকা আর রংপুরে ১৫ টাকা। আমরা ভোররাতে ট্রাক বাজারে আসার সময় মনিটরিং বাড়াতে চাই। এতে বোঝা যাবে দামের পার্থক্য।

মাংসের হঠাৎ দাম বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেন, মাংসের দাম সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বসতে চাই।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেখানে উৎসবের সময় বিশ্বের সব দেশে দাম কমে, আমাদের এখানে দাম বাড়ানো হয়। আমাদের প্রতিবেশী ভারতে পূজায় বিভিন্ন পণ্যের দাম কমে আর আমাদের এখানে সিয়াম-সাধনার মাসে দাম বাড়ানো হয়েছে। আল্লাহ আপনাদের কিন্তু মাফ করবেন না।

তিনি বলেন, প্রতিটি দোকানে কত দামে জিনিস কেনা হলো, ট্রাক ভাড়া কত এবং কত টাকায় বিক্রি করা হবে তার তালিকা থাকতে হবে। আমি কিন্তু কিছু দোকানে তালিকা পায়নি। বাজার কমিটিকে বিষয়টি দেখতে হবে। নিয়মিত তদারকি করতে হবে। গতকাল এফবিসিসিআই একটি কমিটি করেছে। সেখানে তারা ৪৬টি পণ্যের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে বাজার অভিযানকালে অধিকাংশ দোকানেই পণ্য ক্রয়ের রশিদা পাওয়া যায় না। মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। পরবর্তীতে সব ধরনের রশিদ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন। এবং এ বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করার পরামর্শ দেন।
এ সময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।