নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। সংবিধানের ২২৪(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। গত ৩রা এপ্রিল পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোটকে অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে দেন। এরপর প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। ফলে এখন সাধারণ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন প্রেসিডেন্ট।
যদিও এখনো সুপ্রিম কোর্টের লড়াই বাকি রয়েছে বিরোধীদের। স্পিকার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গেছেন বিরোধীরা। এতে বিরোধীরা জয় পেলে আবারও পার্লামেন্ট বসবে এবং ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হবে।
তবে পার্লামেন্ট সংসদীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে না চাইলে কিংবা ইমরান খানের পক্ষে রায় দিলে সংবিধান অনুযায়ী আগামি ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে পাকিস্তানে।
নির্বাচন কমিশনকে দেয়া প্রেসিডেন্টের চিঠিতে সংবিধানের ৪৮(৫)(এ) এবং ২২৪(২) অনুচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদগুলো বলছে, সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। ২০১৭ সালের নির্বাচনি আইনের ৫৭(১) ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করার জন্য প্রেসিডেন্টকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। প্রেসিডেন্ট আলভি সেই প্রস্তাব জানিয়েই চিঠি পাঠিয়েছেন।
এদিকে ডন জানিয়েছে, আগামি ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে অপারগতা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য বেশ কিছু আইনি ঝামেলা এবং পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র। তবে এখনো প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি কমিশন।