এপ্রিল ২৪, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে। যারা সরকারের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে, তারাই শুধু সরকারি জোটে ভোট দেবে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে নির্যাতিত-নিপীড়িত বিশাল জনগোষ্ঠী বিরোধী জোটে ভোট দেবে। তাই জাতীয় পার্টির অবস্থান পরিষ্কার। জাতীয় পার্টি সারারণ মানুষের কাতারে নেতৃত্ব দেবে।

রোববার বিকালে মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্ব এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম পাঠান পরিচালনা করেন।

সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতি করছে। কিন্তু দেশের মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাই জাতীয় পার্টির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে আগামী নির্বাচনে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির ওপর ভরসা রাখতে চায়, সেজন্য জাতীয় পার্টিকে আরও সুসংহত করতে হবে। নির্বাচন এলে কিছু মানুষ সরকারি দলের দালালি করতে চায়। যারা দালালি করবে জাতীয় পার্টিতে তাদের জায়গা হবে না।

তিনি বলেন, প্রতিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় পার্টির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় পার্টির জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে। আবার নিজেদের ইচ্ছামতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি না।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পেশিশক্তি, অর্থ আর প্রশাসন ব্যবহার করে নির্বাচন ব্যবস্থা কলুষিত করেছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আলোচনার প্রস্তাব আসে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে মতামত দেব।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, যানজটের কারণে রাজধানীর মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে। অসুস্থ রোগী অ্যাম্বুলেন্সে নিলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই পথে মারা যাওয়ার অবস্থা হয়। তিনি বলেন, আগামী ঈদে সড়কপথের শৃঙ্খলা রক্ষায় এখনই কাজ করতে হবে। প্রতিটি ঈদে দেশবাসী শেকড়ের টানে ছুটে যায়। পথে পথে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। এ সময় দুর্ঘটনাও বেড়ে যায়। তাই সড়কের ভোগান্তি রোধ করতে এবং ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে এখনই কাজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সল চিশতী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক।

উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শেরীফা কাদের এমপি, মনিরুল ইসলাম মিলন, আমানত হোসেন আমানত, মাহবুবুর রহমান লিপ্টন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, সুলতান আহমেদ সেলিম, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. শামসুল হক, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, আনিস উর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, মাখন সরকার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, মোস্তফা কামাল, ডা. সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে এলাহি সোহাগ, সরদার নজরুল ইসলাম, লোকমান ভূঁইয়া রাজু, এম মহিবুল, ফারুক আহমেদ, আলমগীর হোসেন, সুলতান আরা রিমা, শারমিন, মিনি খান, এসএম হাসেম, নাহার ইতি, আলাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, হাজী সিরাজ, চৌধুরী পারভেজ সাজ্জাদ, আবুল বাশার, দুলাল, এমএম সেলিম, মো. আলী, নূরুন্নবী, কামাল।

এদিকে বিকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় যুব মহিলা পার্টি গঠনের লক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদের এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মেহেজুবুন্নেসা রহমান টুম্পা, নাজনীন সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, যুগ্ম আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সারা শাওলীন দিসা, কেন্দ্রীয় নেতা রিনা আক্তার তুলি, সৈয়দা জাকিয়া আফরোজ হিয়া, ইলোরা ইয়াসমিন, নাহার ইতি, মিথিলা রোয়াজা, কানিজ আফরোজা রাসূল।