এপ্রিল ১৯, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসীদের বিরুদ্ধে জয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনারা তাদের মার্তৃভূমির ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছে। আগে থেকেই আলোচনা ছিল যে, তিনি এই ভাষণে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পক্ষে বড় কোনো ঘোষণা দেবেন। ১৯৪৫ সালের ওই যুদ্ধে বিজয়ের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধকে তুলনা করেন পুতিন। এই যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা ও ন্যাটোকে দায়ী করেন। বলেন, তারা নিরাপত্তার বিষয় উপেক্ষা করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

ওদিকে ইউক্রেনে ১০ সপ্তাহ ধরে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এর ফলে বেসামরিক প্রাণহানি ঘটছেই। মানুষ বোমা হামলা থেকে বাঁচার জন্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল বিলোহোরিভকার একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেও রাশিয়া বোমা হামলা করেছে। এতে কমপক্ষে ৬০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

বক্তব্য দেয়ার সময় পুতিনকে ঘিরে ছিলেন সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতারা

এ সময় তিনি ইউক্রেনের মানুষদের ফ্যাসিস্ট বলে আখ্যায়িত করেন। আবারও তিনি মিথ্যা দাবি করেন, কিয়েভে গণতান্ত্রিক সরকারকে চালাচ্ছে নাৎসীরা। পুতিন বলেন, মার্তৃভূমির রক্ষা করা সবসময়ই পবিত্র দায়িত্ব। এ সময় তিনি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দখল করে নেয়া এলাকার উল্লেখ করে বলেন, আপনারা এখন লড়াই করছেন ডনবাসে আমাদের জনগণের জন্য, রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য, আমাদের মার্তৃভূমির জন্য।
ন্যাটো এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তিনি অপ্রমাণিত অভিযোগ করেন। বলেন, ডনবাসে শায়েস্তা করার জন্য একটি অপারেশন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এর উদ্দেশ্য হলো আমাদের ভূমিতে অনুপ্রবেশ করা। কিয়েভ থেকে বলা হয়েছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র হাতে পেয়েছে। আমাদের খুব কাছে স্থলভাগকে ন্যাটো ব্যবহার শুরু করেছে। এটা আমাদের জন্য আমাদের সীমান্তের জন্য সুস্পষ্ট হুমকি।
পুতিন তার ১১ মিনিটের বক্তব্য শেষে বলেন, রাশিয়ার জন্য, আমাদের বিজয়ের জন্য আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৌরব। রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো বলেছে, এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল ১১ হাজার সেনা সদস্য ও ১৩১টি সাজোয়া যান।