এপ্রিল ২৯, ২০২৪

পিবিএ ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ ঘানার পার্লামেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কমপক্ষে তিন সপ্তাহ পার্লামেন্টের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি পার্লামেন্টের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা এবং কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

কমপক্ষে ১৭ পার্লামেন্ট সদস্য এবং ১৫১ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে পার্লামেন্টের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া আর সম্ভব হচ্ছে না। এর আগে পার্লামেন্টে সব ধরনের বৈঠকেও সীমাবদ্ধতা আনা হয়।

মঙ্গলবার পার্লামেন্ট বন্ধের ঘোষণা দেন স্পিকার আলবান বাগবিন। আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পার্লামেন্ট জীবানুমুক্ত এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতেই এই কয়েকদিন সবকিছু বন্ধ রাখা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই পার্লামেন্ট তিন সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে আকুফো আদ্দোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে বৈঠক চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। গত ডিসেম্বরে পুনরায় নির্বাচিত হন আকুফো। কিন্তু তিনি এখনও দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেননি।

করোনা মহামারি শুরুর পর পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৩ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৪৮২ জন।

দেশটিতে শেষকৃত্য, বিয়ে, পার্টিসহ বিভিন্ন জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া বীচ, নাইট ক্লাব, সিনেমা হল এবং পাব বন্ধ রাখা হয়েছে।

গত মাসে স্পিকারের পক্ষে ভোট দেওয়ার সময় বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পার্লামেন্টে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিল সেনাবাহিনী। দুই প্রধান দলের মধ্যে বিভক্ত হয়ে গেছে নতুন পার্লামেন্ট। ফলে দেশটির রাজনৈতিক অচলাবস্থা ঝুঁকি মুখে রয়েছে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পিবিএ/এমএসএম