নিউজ ডেস্ক: অবশেষে পদত্যাগ করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে। অল্পক্ষণ আগে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এ খবর দিয়েছে দেশটির অনলাইন ডেইলি মিরর। এমন এক সময়ে তিনি পদত্যাগ করলেন যখন দেশে সরকারবিরোধীদের আন্দোলনকে দমন করতে জারি আছে কারফিউ। তা অমান্য করে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ জনতা। রাজধানী কলম্বো ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকারপন্থি সমর্থকরা। এর আগে শুক্রবার চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে নিজের ভাই ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেন প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। জবাবে মাহিন্দ রাজাপাকসে এসএলপিপি এমপিদের কয়েকজনকে জানান, তিনি আজ সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিদেশি ঋণনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলায় শ্রীলঙ্কা এখন সরকারিভাবে দেউলিয়া। বিদেশিদের কাছে দেশটির আছে ৫১০০ কোটি ডলারের ঋণ। এই ঋণ শোধ দেয়ার সামর্থ নেই তাদের
ফলে সরকারিভাবে বিদেশি দাতাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে দেউলিয়াত্বের কথা। আর্থিক সঙ্কট অক্টোপাসের মতো চারদিক থেকে আঁকড়ে ধরেছে দেশটিকে। চারদিকে শুধু নেই আর নেই। যাওবা নিত্যপণ্য পাওয়া যায়, তার দাম আকাশচুম্বী। সরকার অত্যাবশ্যক পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হাত দিয়েছে বৈদেশিক রিজার্ভে। তাও প্রায় শেষের পথে।
এ অবস্থায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সাধারণ মানুষের। তারা দীর্ঘ সময় নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে যোগ দিয়েছেন সরকার দলীয় কিছু সদস্য, কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটাররা, চিকিৎসকরা আর মন্ত্রীসভা থেকে একযোগে পদত্যাগ করেন ২৪ জন। জোর করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন গোটাবাইয়া ও মাহিন্দ রাজাপাকসে ভ্রাতৃদ্বয়। কিন্তু মানুষের পেটে খাবার না থাকলে, অসুখে চিকিৎসা না পেলে যা হয়, তাই হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে কারফিউয়ের মধ্যেও রাস্তায় নেমে পড়েছেন। তার ওপর চালানো হয়েছে হামলা। এ সময়েই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।