মে ১৬, ২০২৪

পিবিএ ডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার সম্পর্ক মধুর যাচ্ছে না– এ খবর বহুদিন ধরে করে আসছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হেরে গিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় দেশটির কোনো কোনো গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছিল যে, ট্রাম্পকে ডিভোর্স দিতে যাচ্ছেন সাবেক ফার্স্টলেডি। সেই গুঞ্জনকে আরও দৃঢ় করল মেলানিয়ার সাম্প্রতিক টুইট।

বিশেষ দিনে প্রিয়জনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পোস্ট কিংবা টুইট করার সংস্কৃতি নতুন নয়। সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরাও এটি করে থাকেন। কিন্তু বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মেলানিয়া ট্রাম্প যে টুইট করেছেন, তাতে দীর্ঘদিনের সঙ্গী ট্রাম্পের কথা উল্লেখ ছিল না। ট্রাম্পের সঙ্গে কাটানো সময় বা তাকে ইঙ্গিত করেও কোনো লেখার উপস্থিতি ছিল না মেলানিয়ার পোস্টে। যেটি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবর ডেইলি মেইল ও হাফপোস্টের।

মেলানিয়া ভালোবাসা দিবসের টুইটে শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসার কথা উল্লেখ করেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা এক টুইটে মেলানিয়া লেখেন– ‘এই ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে আমি ম্যারিল্যান্ডের শিশু নিবাসের (ঞযবঈযরষফৎবহংওহহ, ঘওঐ) সাহসী ও প্রেরণাদানকারী বাচ্চাদের কথা ভাবছি, যেখানে আমি বিগত কয়েকটি বছর গিয়েছিলাম। ওই শিশুদের জন্য আমার ভালোবাসা আজকে এবং প্রতিদিনের জন্য। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে।

এর আগে আরেকটি টুইটে ট্রাম্পপত্নী লেখেন-

বিশ্বজুড়ে চমৎকার সব শিশুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খুব ভালো লেগেছে। সবাইকে ভ্যালেন্টাইনস ডে উইকএন্ডের শুভেচ্ছা!

ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার ১৬ বছরের সংসার জীবন। দীর্ঘদিনের সঙ্গীকে অমন বিশেষ দিনে স্মরণ করেননি মেলানিয়া। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটেও মেলানিয়ার কথা উল্লেখ নেই।

অথচ ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভ্যালেনটাইনস ডের টুইটে স্ত্রী জিল বাইডেনের কথা উল্লেখ আছে। বাইডেন স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে টুইট করেন- ‘ঞযব ষড়াব ড়ভ সু ষরভব ধহফ ঃযব ষরভব ড়ভ সু ষড়াব. ঐধঢ়ঢ়ু ঠধষবহঃরহব’ং উধু, ঔরষষু.’ অর্থাৎ আমার জীবনের ভালোবাসা এবং আমার ভালোবাসার জীবন। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে জিলি।

মেলানিয়ার বিশেষ দিনের টুইটে ট্রাম্পের বিষয়ে উল্লেখ না থাকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারীরা।

থাবো ব্যালয়ি নামে একজন মেলানিয়ার উদ্দেশে টুইটে লিখেছেন, ভালোবাসা দিবসের টুইটে তোমার প্রিয়জনকে স্মরণ করলে না?

মাইক সিগটন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন– মেলানিয়া ভালোবাসা দিবসে খুদেবার্তা দিয়েছেন, কিন্তু তার স্বামীর কথা কিছুই লিখেননি। খুব সম্ভবত স্বামীর প্রতি তার ঘৃণার মাত্রাটা বেড়ে গেছে।

আরও অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সমালোচনায় মেলানিয়া ও ট্রাম্পের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তারা ইঙ্গিত করেছেন, এই দুজনের সম্পর্ক এখন তলানিতে।

পিবিএ/এমএসএম