এপ্রিল ২৭, ২০২৪

পিবিএ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আগামী সোমবার সৌদি আরব বিষয়ে একটি ঘোষনা দেবে তার প্রশাসন।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের দফতর জানায়, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমান। এর প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও প্রিন্স সালমানের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।

বাইডেনের এই পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট এ নিয়ে এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, প্রিন্স সালমানের ওপর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল।

শনিবার প্রিন্স সালমানের বিষয়ে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সোমবার এ বিষয়ে একটি ঘোষণা দেয়া হবে যে সৌদি আরবের বিষয়ে আমরা কী করব।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। সৌদির একটি কিলিং স্কোয়াড টিম যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ ওঠে।

প্রথম থেকেই ওই হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে আসছিল সৌদি আরব। পরে অবশ্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়। এ ঘটনার পর এই প্রথম খাশোগি হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সৌদি যুবরাজের নাম প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি সরকার।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭৬ সৌদি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই তালিকায় নেই হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সৌদি আরবের ‘শীর্ষ নেতা’ হওয়ার কারণেই তার ওপর কোনও ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না।

পিবিএ/এমএসএম