এপ্রিল ২৬, ২০২৪

লন্ডনে পুলিশ সদস্যের হাতে সারাহ এভারার্ড নামে এক নারী খুন হওয়ার জেরে গতকাল রোববারও বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে লন্ডন শহর। বিক্ষোভে পুলিশি বাধার নিন্দা জানিয়ে পুলিশপ্রধানের পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। যদিও করোনার লকডাউনে জনসমাবেশকে বেআইনি উল্লেখ করে ওই পুলিশি কর্মকাণ্ডের পক্ষেই অবস্থান নেন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিদা ডিক।

করোনা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে আবারও লন্ডন পুলিশের সমালোচনায় উত্তাল ছিল লন্ডন শহর। রোববার (১৪ মার্চ) পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভে অবস্থান নেন কয়েকশ’ নারী। তারা পুলিশের হাতে নিহত নারী সারা এভারার্ডের হত্যার বিচারের দাবি জানান। একই সঙ্গে লন্ডন পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদও জানান তারা। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, লন্ডনের মতো শহরেও রাতের বেলা নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্রিটিশ পুলিশ। এ ছাড়া শনিবার নারীদের বিক্ষোভে পুলিশি হামলা আর ধরপাকড়ের ঘটনারও নিন্দা জানান আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় নিউ স্কটল্যান্ডেও।

একই দিন লন্ডনের পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান মেয়র সাদিক খানসহ দেশটির সরকারি ও বেসরকারি দলের নেতারাও।

কিন্তু করোনার সংক্রমণ রোধে পুলিশের নেয়া পদক্ষেপ আইনবহির্ভূত ছিল না বলে দাবি করে নিজ দলের সদস্যদের পক্ষে সাফাই গাইলেন লন্ডনের পুলিশ কমিশনার। বিক্ষোভকারীরা তার পদত্যাগের দাবি তুললেও তা নাকচ করে দিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন তিনি।

একজন নারী হিসেবে আন্দোলনকারীদের অনুভূতি আমি বুঝতে পারছি। যদি করোনার কারণে এ ধরনের জমায়েত আইনবহির্ভূত না হতো তাহলে ওই শোকসভায় আমিও হয়তো যেতাম শ্রদ্ধা জানাতে। নারীরা বলছেন, তারা রাতের আধারে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন না। তাদের দাবি বিবেচনায় নেয়া হোক সেটা আমিও চাই। কিন্তু শনিবার লকডাউন উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা যে বিশাল জমায়েত করেছিল তা হটাতে পুলিশ নিজেদের দায়িত্বই পালন করেছেন বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে গত ৩ মার্চ নিখোঁজ হন ৩৩ বছর বয়সী সারাহ এভারার্ড। তাকে সর্বশেষ দক্ষিণ লন্ডনের ক্লেপহাম কমনে দেখা গিয়েছিল। পুলিশ গত বুধবার তল্লাশি চালিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডন থেকে ৫০ মাইল দূরে উডল্যান্ড থেকে সারাহ এভারার্ডের মরদেহ উদ্ধার করে। এরই মধ্যে লন্ডনের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই তরুণীকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।