এপ্রিল ২৬, ২০২৪

কম্পিউটারটির বয়স দুই হাজার বছরের বেশি। গবেষকরা বলছেন, এটি ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার পাশাপাশি ভবিষ্যদ্বাণীও করত গ্রিকরা। সম্ভবত এটিই বিশ্বের প্রথম অ্যানালগ কম্পিউটার।

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো অ্যানালগ কম্পিউটারটির রহস্য উন্মোচন করতে তারা যন্ত্রটিকে পুনর্গঠন বা মেরামত করে পরীক্ষাও চালিয়েছেন। যন্ত্রটি কিভাবে কাজ করে, বিজ্ঞানীরা সেটি বোঝার চেষ্টা করেছেন।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা থ্রিডির মাধ্যমে যন্ত্রটির পুরো মডেলটি সম্পর্কে একরকম ধারণা দিয়েছেন। গত শুক্রবার প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনে এর গিয়ারিং সিস্টেমের ধরন ও বিভিন্ন অংশ শনাক্ত করে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।

১৯০১ সালে গ্রিসের একটি দ্বীপের কাছে জাহাজডুবির ধ্বংসাবশেষ খুঁজতে গিয়ে অ্যান্টিকাইথেরা মেকানিজম নামে পরিচিত যন্ত্রটি পাওয়া যায়। একযুগেরও বেশি সময় নিয়ে গবেষকেরা যন্ত্রটির ভাঙা টুকরোগুলো একসঙ্গে জুড়ে দেন। তারপর এক্স-রের ছবি ব্যবহার করে মূল যন্ত্রটির আদলে একটি কাঠামো দাঁড় করান। আর তা বিশ্লেষণ করে এমন ইঙ্গিত পান।

জানা গেছে, অ্যানালগ কম্পিউটারটির সবগুলো অংশ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যতটুকু উদ্ধার করা হয়েছে, এর মাধ্যমে পুরো যান্ত্রিক কার্যক্রমের সম্ভাব্য মডলটি তারা জানার চেষ্টা করেছেন।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা যন্ত্রটির মডেল অনুযায়ী যন্ত্রটির ফন্ট প্যানেল তৈরি করেছেন। তারা আশা করছেন, বর্তমান যুগের জিনিসপত্র দিয়ে পুরনো এই যন্ত্রটির একটি রেপ্লিকা বা নকল বানাতে পারবেন।