মে ২০, ২০২৪

মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৭ হাজার ২৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে দেড় হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯২ জনে পৌঁছেছে।

একই সময়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৬৬ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭৩ হাজার ৩১২ জনে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে সোমবার সকাল ৮টার দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৭৬৮ জন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৮০ জন মারা গেছেন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এ সময়ে দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ৬০৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৭৩৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৫ হাজার ৭২৩ জনে পৌঁছেছে।

আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৫০৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮৬ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। এ সময়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪২৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৭৮৪ জন।

এছাড়া বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৮০৮ জন।

মহামারি এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৯ জন, রাশিয়ায় ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৭ জন, যুক্তরাজ্যে ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৬৭ জন, ইতালিতে ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪৮ জন, তুরস্কে ৫৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৫ জন, স্পেনে ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৮৮৫ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৫৯ হাজার ৩৫২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৯ হাজার ৭১৯ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ৬৮ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯০৬ জন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।