এপ্রিল ২৯, ২০২৪

মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৯ হাজার ৮৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ২ হাজার দুইশ এর বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫২ জনে পৌঁছেছে।

একই সময়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ১২ হাজার ২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৭০৪ জনে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনায় সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৩৮১ জন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৮ হাজার ৬১১ জন আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৩ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এ সময়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৯৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৯০০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৮ হাজার ৮৮৯ জনের।

আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৩৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৫৭২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ৭৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৭ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬১ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৫৬৬ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৯ জন।

এছাড়া করোনায় এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩২ জন, রাশিয়ায় ৬৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৫ জন, যুক্তরাজ্যে ৫৯ লাখ ২৩ হাজার ৮২০ জন, ইতালিতে ৪৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭৪ জন, তুরস্কে ৫৭ লাখ ৯৫ হাজার ৬৬৫ জন, স্পেনে ৪৫ লাখ ২৩ হাজার ৩১০ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ৩২৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২৮ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৯৯৩ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬০ হাজার ৯২৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৯ হাজার ৮৮১ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ১১৫ জন, তুরস্কে ৫১ হাজার ৬৪৫ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৭৭৩ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ২০৮ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪১ হাজার ২৭৯ জন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে সংস্থাটি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।