বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) তাণ্ডব থামছেই না। আজ কমছে তো কাল বাড়ছে, এভাবেই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ১০ হাজার ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে দেড় শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৬০৫ জনে।
একই সময়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৯৩ হাজার ১২১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে চার হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ২৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯০১ জনে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে শনিবার সকাল ৮টার দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৭০৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪৭ হাজার ১২৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৪১ জন মারা গেছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়। এ সময়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৩৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ৭ হাজার ৮৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ১০ জনের।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ১৫৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭০০ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৭ হাজার ৪০১ জন।
এখন পর্যন্ত মহামারি এ ভাইরাসে ফ্রান্সে ৬২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৩ জন, রাশিয়ায় ৬৪ লাখ ২ হাজার ৫৬৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৬০ লাখ ১৪ হাজার ২৩ জন, ইতালিতে ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৭ জন, তুরস্কে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৪১ জন, স্পেনে ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২৯ লাখ ২২ হাজার ৬৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১২ হাজার ১৫৮ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬৩ হাজার ৩০১ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ১৭৮ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ১৮৭ জন, তুরস্কে ৫১ হাজার ৯৭৬ জন, স্পেনে ৮২ হাজার ৬ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ২৭১ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৫ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।
