প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৮ হাজার ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় ৪০০। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮৪ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে এ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫১০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৭ জনে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ইরানে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৪১৯ জন এবং মারা গেছেন ৬৮৪ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৬ লাখ ৭৭ হাজার ১১৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ২ হাজার ৩৮ জন মারা গেছেন।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এ সময়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩০ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪০৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮১০ জন এবং মারা গেছেন ১৯৮ জন। প্রাণঘাতী ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩১ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪০৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৯১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৪ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮৫ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৪২০ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২৪ লাখ ৪৮ হাজার ৯৬৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮৪ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৬১১ জন, রাশিয়ায় ৬৭ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭ জন, যুক্তরাজ্যে ৬৪ লাখ ৯২ হাজার ৯০৬ জন, ইতালিতে ৪৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৩ জন, তুরস্কে ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৩ জন, স্পেনে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৩ জন, জার্মানিতে ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার ২৪ জন এবং মেক্সিকোতে ৩২ লাখ ১৭ হাজার ৪১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৩ হাজার ৩১১ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৭৫ হাজার ৪৪ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৬৪০ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ৭৫১ জন, তুরস্কে ৫৪ হাজার ৫৩৩ জন, স্পেনে ৮৩ হাজার ১৩৬ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ৪৭৮ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৫২ হাজার ৯২৭ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।
