মে ২১, ২০২৪

দেশে করোন সংক্রমণে লাগাম টানতে যাদের বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে তাদের সবাইকে টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধনের জন্য কো-উইন নামের একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।

বুধবার বিকেল ৪ টায় অ্যাপটি চালু করার পর প্রথম তিন ঘণ্টায় দেশজুড়ে প্রায় ৮০ লাখ আগ্রহী ব্যক্তি টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ৩৫ লাখ নিবন্ধন করেছেন কো উইন চালুর এক ঘণ্টার মধ্যে।

কো-উইন অ্যাপের প্রধান আর.এস শর্মা এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদেরকে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতাল ও টিকাদান কেন্দ্রগুলো টিকার দাম নির্ধারণ করার পরই অ্যাপের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার অনুযায়ী তারা হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।

টিকা নেওয়ার জন্যে দেশের ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের কো উইন অ্যাপে নাম রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারী নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১ মে থেকে যারা ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে আবশ্যই কো-উইন অ্যাপে নাম নিবন্ধন করাতে হবে। যারা নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হবেন, তারা টিকার ডোজ নিতে পারবেন না।

তবে যাদের বয়স ৪৫ বছরের উপর. তাদের জন্য সরকার পুরোনো ব্যবস্থাই চালু রাখা হয়েছে। ফলে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে তারা টিকা নিতে পারবেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সবার জন্য টিকা উন্মুক্ত করা হলে তার চাহিদা কয়েকগুণ বাড়বে। এই অবস্থায় ভীড় নিয়ন্ত্রণ ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্বে দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে এই কর্মসূচির ২য় পর্ব শুরু হয়েছে। এ পর্যায়ে ভারতের ৪৫ বছর ও তার অধিক বয়সী সব ব্যক্তিকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।

আগামী ১ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই কর্মসূচির তৃতীয় পর্ব। এই পর্বে ১৮ এবং তার চেয়ে অধিক বয়সী নাগরিকদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।