মে ১৯, ২০২৪

বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৫২ থেকে বেড়ে ৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে মোদির মন্ত্রীর সংখ্যা। উত্তরপ্রদেশসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে সাজানো হয়েছে এবারের মন্ত্রিসভা।

উত্তরপ্রদেশের ছয় রাজনীতিবিদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের নির্বাচনে রাজ্যটিতে বিজেপি হেরে গেলে তা মোদির জন্য বড় লজ্জার কারণ হবে। তিনি নিজেও এই রাজ্য থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

নারী মন্ত্রীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে চার জন ছিল, সেখানে সাতজন বাড়িয়ে ১১ নারী রয়েছেন মোদির মন্ত্রিসভায়।
সবার আগে শপথ নিয়েছেন নারায়ণ রানে। ৬৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ রাজ্যসভার এমপি ও মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল ইংরেজি ভাষায় শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া ক্রীড়া ও যুবমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার এমপি জ্যোতিরাদিত্য সিন্দিয়া। মধ্যপ্রদেশের লোকসভার এমপি বীরেন্দ্র কুমার, উড়িষ্যার রাজ্যসভার এমপি অশ্বিনী ভাসনাও, বিহারের রাজ্যসভার এমপি আর সি পি সিং, বিহারের লোকসভার এমপি পশুপতি কুমার পরসও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
কিরেন রিজিজু, আর কে সিং, হার্দিপ সিং পুরি, মানসুখ মান্দাবিয়া, পুরুষোত্তম রুপালা, জি কিষাণ রেড্ডি ও অনুরাগ ঠাকুরকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে।

এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, আইটি ও আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ, আই ও বি মন্ত্রী প্রকাশ জাবেদেকারসহ অন্তত ১২ মন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক ধাক্কা লেগেছে। হাসপাতালগুলোতে তখন রোগীদের উপচেপড়া ভিড়ে শয্যা ও ওষুধের সংকটের পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষ অক্সিজেনের জন্য হাহাকার করছিলেন। অক্সিজেনের অভাবে বহু মানুষকে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন হর্ষ বর্ধন। মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনের মধ্যে বেশ কিছু বিতর্কেও জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে তাকে। যার মধ্যে এফএমসিজি কোম্পানির পতঞ্জলির বিতর্কিত করোনাবিরোধী কিট করোনিলের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় ইয়োগা গুরু রামদেবও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তবে কোভিড-১৯ রোগে বিপর্যয়ে এই সংকটের সময়ে কেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তা পরিষ্কারভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে সরকারকে এখন বেশি জোর দিতে হচ্ছে। আর এটি নির্ভর করছে সরকারের টিকাদান পরিকল্পনার ওপর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিকাদান কর্মসূচি বড় হোঁচট খেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়াও পদত্যাগ করা মন্ত্রিরা হলেন, নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় দত্ত।
শিক্ষামন্ত্রী পোখরিয়াল নিশাঙ্ক দেশটির নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার সময়ে ভারতে অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষার ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। দেশজুড়ে বিনামূলে শিক্ষার্থীরা অনলাইন কোর্স করতে পেরেছেন।

গত ২১ এপ্রিল তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সর্বভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে (এআইআইএমএস) ভর্তি হয়েছিলেন। পদত্যাগপত্রে তিনি স্বাস্থ্য সংকটের কারণ দেখিয়েছেন।