মে ৭, ২০২৪

আলোক স্বল্পতার কারণে, খেলা বন্ধ ঘোষণার পরপরই এভাবে দৌঁড়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান। দেখে মনে হতে পারে, দ্রুত কোনো কাজ সারতে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু, মুজারাবানি, তিরিপানো আর নায়োচির বোলিং তোপের পর, পালিয়ে বাঁচা ছাড়া আর কেনই বা এভাবে দৌঁড়াবেন রিয়াদ-তাসকিন।

হারারের গল্পটা শুরু থেকেই আজ চলেছে একইভাবে। যেখানে, পুরো সময়টা জুড়েই নায়ক জিম্বাবুয়ের পেসাররা। আরো পরিষ্কার করে বললে, ব্লেসিং মুজারাবানি। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটাকে ভুল প্রমাণে খুব বেশি সময় নেননি স্বাগতিক বোলাররা। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই ইনসুইং ডেলিভারিতে বোকা বনে যান সাইফ হাসান। ফিরে যান শুন্য রানে।

বিশাল এক ব্যাটিং বহর নিয়ে টেস্টে নামা বাংলাদেশের চিন্তা ছিল না একেবারেই। কিন্তু, ওয়ানডাউনে নামা শান্ত নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে যখন ফিরে যান ২ রানে, তখন কপালের ভাঁজ চওড়া হয় ডমিঙ্গোর। আফ্রিকার মাটিতে চোখ রাঙাতে থাকে বাজে কিছু ভাবনা।

সে ধাক্কা কিছুটা সামাল দেন সাদমান এবং অধিনায়ক। কিন্তু, সাদমান আর মুশফিক দ্রুতই ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যান মুমিনুল। তার সে বিপদ আরো বাড়িয়ে দেন বিশ্ব সেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্যাডপ্যাচটাকে আরো একটু বড় করে, তিনি ফিরে যান ৩ রানে। ১০৯ রানে তখন বাংলাদেশের নেই ৫ উইকেট।

ক্রিজে দাঁড়িয়ে নিজেকে অভিসম্পাত করা ছাড়া তখন কিছুই করার ছিল না মুমিনুলের। হয়তো ভাবতেও বসেছিলেন, কেন সেদিন অধিনায়কের দায়িত্বটা নিতে রাজি হয়েছিলেন কর্তাদের কথায়।
তবে, মিনিকে ভরসা দেন লিটন দাস। প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিকে ফিরে পাওয়া ফর্মটা টেনে নিয়ে যান হারারেতে। মাঠের চারদিকে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে শাসন করেন প্রতিপক্ষকে। কিন্তু লিটনের ভুবন ভোলানো ব্যাটিংয়ে একটু হয়তো অন্যমনষ্ক হয়ে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন। ফলাফল, গালিতে ক্যাচিং অনুশীলন করান মায়ারসকে। আবারো ধাক্কা খায় লাল সবুজের দল।

এরপর, রিয়াদ-লিটনে ভর করে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। মাটি কামড়িয়ে রান তুলতে থাকেন দুজন। কিন্তু, ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতেই মনোযোগ হারান লিটন। আউট ৯৫ রানে। পরের বলেই, আউট হন মিরাজ। ব্যাটিং গভীরতার অপূর্ব নিদর্শন দেখায় বাংলাদেশ।

পরের সময়টা কোনোমতে শেষ করেন তাসকিন আর রিয়াদ। ৩ উইকেট নেন মুজারাবানি। আর ২ উইকেট করে গেছে নায়োচি আর তিরিপানোর ঘরে।